এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানোর পেছনে সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদে আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনাফাখোর ও মজুতদার সিন্ডিকেট রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রোববার এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পেছনে রয়েছে সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদ। আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদার সিন্ডিকেট। আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ নীরবে আর্তনাদ করছে। ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত। ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো রকম যে দায়িত্ব আছে সেটি তারা মনে করে না।জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগের কোনো দয়ামায়া নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণ এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যারা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগের বা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে।‘খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজার পরিস্থিতি প্রেক্ষিত খাদ্য অধিকার’শীর্ষক সেমিনারে অধিকাংশ বক্তাই চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে খাদ্যমন্ত্রী ও তার নিয়ন্ত্রনাধীন রাইস মিলগুলোর ভূমিকাকে দায়ী করেন বলে উল্লেখ করেন রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, মন্ত্রী নিজেই বলেছেন- ব্যবসায়ীদের অতি লোভের কারণে মাঝে মাঝেই চালের দাম বাড়ে। ইতোপূর্বে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে চালের দাম এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। বলা হচ্ছে-বাংলাদেশ থেকে চাল রফতানী হচ্ছে, অথচ অব্যাহত চাল আমদানী চলছে একই সঙ্গে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের বড় ব্যবসায়ী। ভোজ্য তেল, পেঁয়াজের দাম নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। খবরের কাগজে বেরিয়েছে, তলে তলে তারা সিন্ডেকেটে জড়িত। সিন্ডিকেট জনগণের পকেট কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
বানিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীরা নিজেরাই ব্যবসায়ী এবং এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।